Published : 11 Sep 2025, 01:05 AM
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থীশিবিরে বাংলাদেশের অন্তত সাড়ে ছয় লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভারতের ১৭টি শরণার্থীশিবির থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘লিনিয়ার রিগ্রেশন ফর্মুলা’ (আনুপাতিক হার) ব্যবহার করে এই সংখ্যাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক আয়োজিত ‘একাত্তরের শরণার্থীশিবিরে মৃত্যু’ শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতায় এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে। বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার হলে এই বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী গবেষক নাজমুল ইসলাম তাঁর দীর্ঘ এক যুগ ধরে করা গবেষণাপত্রের মূল অংশ পাঠ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অনেক মানুষ আশ্রয়শিবিরে যাওয়ার পথে মারা গেছেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। ভারতে অবস্থিত ১৭টি শরণার্থীশিবির থেকে নাজমুল ইসলাম গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
তিনি জানান, এই তথ্যগুলো সেখানকার নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ ছিল এবং কিছু তথ্য সরকারি হিসাব থেকেও পাওয়া গেছে। সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতে ছিল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সল্টলেকের শরণার্থীশিবিরটি। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার ৭৬১ জন শরণার্থী মারা যান। এই শিবিরে ১ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থীর হিসাব রাখা হয়েছিল। এই গবেষক আরও জানান, পশ্চিমা বিশ্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণহানি নিয়ে যত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। তাই এই গবেষণামূলকভাবে প্রমাণিত মৃত্যুর সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও গবেষক মফিদুল হক বলেন, গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে শরণার্থীশিবিরের এই মৃত্যুর হিসাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, এই পরিসংখ্যানের সাথে দেশের ভেতরের ‘ননভায়োলেন্ট’ (অহিংস) মৃত্যুর সংখ্যা যুক্ত করে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন। আলোচনা পর্বের আগে সুলতানার স্বপ্ন ডকু রিপোর্ট বা তথ্য প্রতিবেদন উদ্বোধন করা হয়। রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের সুলতানার স্বপ্নকে এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা–ইউনেসকো ২০২৪ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানাভাবে ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি উদযাপন করছে।।
জাকসু নির্বাচনে নারী হলগুলোতে গড়ে ৬১% ভোট, রোকেয়া হলে সর্বোচ্চ ৭১%