Published : 11 Sep 2025, 06:06 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় হল ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ৩ টায় মওলানা ভাসানী হলের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানায় ছাত্রদল। তারা অভিযোগ করেছে, ভোটগ্রহণের সময় প্রশাসন একপক্ষকে সুবিধা দিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যাপক হস্তক্ষেপ করেছে। ছাত্রদল প্যানেলের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'ছাত্রদল একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চেয়েছিল, কিন্তু ভোটগ্রহণের সময় বিভিন্ন অসঙ্গতি আমাদের হতাশ করেছে। প্রশাসন ফ্যাসিবাদী কায়দায় আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে।' ছাত্রদলের পক্ষ থেকে যেসব অসঙ্গতিগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো: ১। সময়মতো ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২। প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেওয়া হয়নি। ৩।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটগ্রহণের সময় শিবির সমর্থিত প্যানেল ভোটারদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেছে। ৪। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে এবং ভিপি প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে। ৫। কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় একটি মহল ভোট কারচুপির সুযোগ পেয়েছে। ৬। কিছু কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যার তুলনায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় ভোটারদের ভোগান্তি হয়েছে। ৭। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর অমোছনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি, ফলে একই ব্যক্তি একাধিক ভোট দিতে পেরেছে। ৮।
ভোটার তালিকায় প্রার্থীদের ছবি না থাকায় একজনের ভোট অন্যজন দিয়েছে। ৯। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদে কার্যকরী সদস্যের জন্য তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও ব্যালটে একজনের নাম ছিল। সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানোর পর ভিপি পদপ্রার্থীসহ সকলে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভোট অনিয়ম বা কারচুপির বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। আগে ১৪টি পদ থাকলেও গঠনতন্ত্র সংশোধন করে তা বাড়িয়ে ২৫টি করা হয়েছে।।
জাকসু নির্বাচনে নারী হলগুলোতে গড়ে ৬১% ভোট, রোকেয়া হলে সর্বোচ্চ ৭১%