Published : 06 Sep 2025, 10:06 AM
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে শান্তিচুক্তি হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি বাফার জোন বা নিরাপত্তা অঞ্চলে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে পারে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বাফার জোনটি একটি বিশাল বেসামরিক এলাকা হবে, যা ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হবে। এই নিরাপত্তা অঞ্চল রক্ষায় সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মতো ন্যাটো-বহির্ভূত দেশগুলোর সেনারা অংশ নিতে পারে। এনবিসি নিউজ আরও জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন, কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনাও খুব একটা নেই বলে তিনি মনে করছেন। গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও, যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার শর্তগুলো নমনীয় করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
এখন পর্যন্ত মস্কোর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে এনবিসির এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। হোয়াইট হাউসও রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি। এনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন পরিকল্পনা এলেও তা বাস্তবায়নে বড় বাধা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ন্যাটোকে অন্তর্ভুক্ত করা অথবা ন্যাটোর কোনো ছাপ থাকা তার জন্য সংবেদনশীল বিষয়। এ কারণে পরিকল্পনাকারীরা বিশেষভাবে সতর্ক থাকছেন, যাতে এই উদ্যোগে ন্যাটো সেনা বা ন্যাটোর কোনো প্রতীকী উপস্থিতি না থাকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা ন্যাটোর ধারা ৫-এর (একজন সদস্যের ওপর হামলা মানে সবার ওপর হামলা) বাইরে গিয়েই দেওয়া হবে। এর পরিবর্তে ন্যাটো-বহির্ভূত দেশগুলোর সেনা এবং ইউক্রেন ও তার মিত্রদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নেতাদের সম্মতি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।।
সবচেয়ে পাতলা আইফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার কে এই আবিদুর চৌধুরী