Published : 05 Sep 2025, 04:05 PM
একজন ভাস্কুলার সার্জন নিজেই নিজের পা কেটে ফেলেছিলেন। বীমা জালিয়াতি এবং চরম অশ্লীলতা রাখার দায়ে আদালত নীল হপারকে (৪৯) দুই বছর আট মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। কর্নওয়ালের ট্রুরোর বাসিন্দা হপার ২০১৯ সালে নিজের পা হারানোর আগে অসংখ্য অঙ্গচ্ছেদের অপারেশন করেছিলেন। ট্রুরো ক্রাউন কোর্টে জানানো হয়েছে যে, তিনি বীমা কোম্পানিকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, সেপসিসের কারণে তার পা হারাতে হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই নিজের পায়ে আঘাত করে তা কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রসিকিউটর নিকোলাস লি জানান, ২০১৯ সালের মে মাসে ‘রহস্যজনক অসুস্থতা’র পর হপারের হাঁটুর নিচ থেকে পা কেটে ফেলা হয়। কিন্তু বাস্তবে তিনি নিজের পায়ে বরফ ও ড্রাই আইস ব্যবহার করে অঙ্গগুলো হিমায়িত করেছিলেন, যাতে সেগুলো কেটে ফেলতে হয়।
হপার আদালতে স্বীকার করেছেন যে তিনি দুটি জালিয়াতি এবং তিনটি চরম অশ্লীল ছবি সংরক্ষণের অভিযোগে দোষী। এর মধ্যে ‘অঙ্গচ্ছেদ বিষয়ক যৌন আগ্রহ’ও ছিল। বিচারক জেমস অ্যাডকিন রায়ে বলেছেন, হপারের আগে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকলেও, এবং তিনি অনুতপ্ত হলেও, অশ্লীল ভিডিওগুলোতে ক্ষতির মাত্রা ছিল ‘অতিরিক্ত’। ঘটনার পর হপার পায়ে ব্যথার অভিযোগ করলে, তার উভয় পা কেটে ফেলা হয়। হপার দুটি বীমা সংস্থা থেকে ৪ লাখ ৬৬ হাজার পাউন্ডেরও বেশি অর্থ দাবি করেছিলেন, যা পরে জালিয়াতি হিসেবে প্রমাণিত হয়। প্রসিকিউটর মিস্টার লি জানান, হপার ‘লোভে প্রলুব্ধ’ হয়ে এই কৌশলটি অবলম্বন করেছিলেন। তিনি এক বন্ধুকে মেসেজ করেছিলেন যে, দাবিগুলো থেকে ‘যতটা সম্ভব লাভ’ নেওয়া উচিত।
আদালত শুনেছে, হাপারের নিজের শরীরের অংশ অপসারণের প্রতি যৌন আগ্রহ এবং আসক্তি এই কাজের সাথে জড়িত ছিল। প্রসিকিউটর আরও উল্লেখ করেছেন, এটি হাপারের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল। অঙ্গচ্ছেদের মাত্র ছয় মাসের কম সময়ে হপার কৃত্রিম পা ব্যবহার করে পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরেছিলেন। ২০২৩ সালের মার্চে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ডিসেম্বর থেকে মেডিকেল রেজিস্টার থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।।
সবচেয়ে পাতলা আইফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার কে এই আবিদুর চৌধুরী