Published : 11 Sep 2025, 12:06 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগের দিন রাতে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল, বিতর্কিত ডোপ টেস্টের নির্দেশনা, বাজেট নিয়ে অনিয়ম এবং নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল। আজ বুধবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শরণ এহসান বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। আপিল বিভাগে শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মিথ্যাচার করেছেন অভিযোগ করে শরণ এহসান বলেন, প্রশাসন বলছে অমর্ত্য রায়ের নাম ছাড়া ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে গেছে। নতুন করে ব্যালট ছাপানো হলে নির্বাচন পেছাতে হবে। অথচ চ্যানেল২৪-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন সকালেই ছাপানো হবে।
এই দ্বৈত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, প্রশাসন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অমর্ত্য রায়কে নির্বাচন থেকে বাদ দিতে চেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সব প্রার্থীর জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকেও পক্ষপাতদুষ্ট ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করে প্যানেলটি। তাদের অভিযোগ, অনেক প্রার্থী এখনো ডোপ টেস্ট করেননি। অথচ তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একইসঙ্গে কমিশন এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট নীতিমালাও উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, নির্বাচন বাস্তবায়নের জন্য কমিশন যে ১ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে, তাতে রয়েছে অস্বচ্ছতা ও অতিরঞ্জিত ব্যয় পরিকল্পনা। উদাহরণস্বরূপ, ভোট গণনার জন্য ৫টি ম্যাকবুক কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৮ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং নির্বাচনের দিন খাবারের পেছনে ১০ লাখ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কমিশন এসব খরচের যৌক্তিকতা এখনো ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।।