Published : 11 Sep 2025, 10:04 AM
প্রায় তিন দশক পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। দীর্ঘ বিরতির পর নির্বাচন হওয়ায় পুরো ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিল। তারা এই নির্বাচনকে সেই প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ হিসেবে দেখছে।
এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। পূর্বে ১৪টি পদ থাকলেও গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে তা বৃদ্ধি করে ২৫টি করা হয়েছে। এছাড়াও, নেতৃত্বে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য ৬টি সংরক্ষিত পদ রাখা হয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রায় সকল সক্রিয় সংগঠন এই ভোটে অংশগ্রহণ করছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও সেনাসহ সকল বাহিনী মাঠে থাকবে এবং প্রয়োজনে সেনারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট গণনার জন্য ওএমআর মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে সিনেট হলে বড় পর্দায় দেখানো হবে। প্রতি ঘণ্টায় ক্যাম্পাসজুড়ে আপডেটস জানানো হবে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও জনসংযোগ দপ্তরের ফেসবুক পেজেও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।।
জাকসুতে বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করল ছাত্রদল