Published : 03 Sep 2025, 11:05 PM
সুদানের দারফুর অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা কাদামাটির নিচ থেকে ১০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এই তথ্য জানিয়েছে। সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি (এসএলএম)-এর আবদুলওয়াহিদ আল-নূর নেতৃত্বাধীন অংশটি জানায়, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে জেবেল মাররার তারাসিন গ্রামটি ভূমিধসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এসএলএম-এর মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেলরহমান আল-নাইর বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপের মাধ্যমে এএফপিকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ১০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার এসএলএম প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবকরা খালি হাতে কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একটি মৃতদেহ বের করছেন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এই ঘটনায় গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং মাত্র একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসএলএম জেবেল মাররার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও এই সংঘাতে তারা তেমনভাবে জড়ায়নি। ফলে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে বহু মানুষ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এই অঞ্চলটি উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
এল-ফাশের শহরটি এক বছরের বেশি সময় ধরে আধা সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে। এই অঞ্চলটি লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাস ফল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। বর্ষাকালে এখানে ভূমিধসের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।।
কাতারে হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে কানাডা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী