Published : 07 Sep 2025, 03:04 AM
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বোর্নো রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে দারুল জামাল শহরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে নাইজেরিয়া ও ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সেনা সদস্য ছিলেন। নাইজেরিয়ায় গত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের আশ্রয় শিবিরগুলো বন্ধ করে তাদের নিজেদের গ্রামে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে এই সাম্প্রতিক হামলা গত কয়েক বছরের সেই উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বোর্নো রাজ্যের গভর্নর বাবাগানা জুলুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই সম্প্রদায়টিকে কয়েক মাস আগে পুনর্বাসন করা হয়েছিল।
তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিল। এখন পর্যন্ত আমরা ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছি। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক এবং সেনা উভয়ই রয়েছেন।’ ২০১৩-২০১৫ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের বিদ্রোহের পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা কিছুটা কমেছে। তবুও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকান প্রভিন্স (আইএসডব্লিউএপি) সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী উত্তর-পূর্বের গ্রামীণ এলাকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বোর্নো রাজ্যের গভর্নর আরও বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল পর্যাপ্ত নয়। তাই ফরেস্ট গার্ডস নামে পরিচিত নবগঠিত একটি বাহিনী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহায়তা করতে মোতায়েন করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে হামলা শুরু হয়।
এসময় কয়েক ডজন সশস্ত্র ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালায় এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। মালাম বুকার নামের একজন গ্রামবাসী বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা চিৎকার করতে করতে আসে। সামনে যাকে পেয়েছে সবাইকে গুলি করতে থাকে। হামলার সময় মালাম স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে গ্রামে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘সকালে আমরা ফিরে এসে দেখি সব জায়গায় লাশ পড়ে আছে।’।
কাতারে হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে কানাডা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী