Published : 12 Sep 2025, 01:06 AM
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি সাধারণ নির্বাচন নয়, এটি একটি “ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন”, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের পথরেখা। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অবশ্যই মৌলিক সংস্কারগুলো চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। একই সাথে মাথায় রাখতে হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় এ কথা বলেছেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়।
সংস্কারের লক্ষ্যে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, তা নিয়ে আজ দিনব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এই বৈঠক শেষ হয় সন্ধ্যায়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানতম তিনটি ম্যান্ডেটের অন্যতম হচ্ছে সংস্কার। তাই নির্বাচন ও বিচারের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে জুলাই সনদের বিষয়টিকে দেখতে হবে।’ আরও পড়ুনদলগুলোর কাছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য পাঠানো হচ্ছে: আলী রীয়াজ৩ ঘণ্টা আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
শিগগিরই কমিশন তাদের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জমা দেবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে গঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রস্তাবগুলোও বৈঠকে তুলে ধরা হয়। আরও পড়ুনসংবিধানসংশ্লিষ্ট সুপারিশের বাস্তবায়ন নির্বাচিত সরকার করবে: সালাহউদ্দিন আহমদ২ ঘণ্টা আগে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। আরও পড়ুনবিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় জামায়াত৬ ঘণ্টা আগে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি