Published : 12 Sep 2025, 10:06 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেছেন জাকসুর নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাফরুহী সাত্তার। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। মাফরুহী সাত্তার জানান, নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সমাধান না করেই ভোট গণনা শুরু করায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ করেছি যে উত্থাপিত অভিযোগগুলো এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলোর দিকে নজর দিয়ে নির্বাচন স্থগিত রাখা হোক। অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি। মাফরুহী সাত্তার বলেন, নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু করায় তিনি নির্বাচন কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে গতকাল অনেক প্রশ্ন উঠেছে। আগেও আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি।
একজন শিক্ষক হিসেবে, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি সবসময় নির্বাচন কমিশনে আমার মতামত তুলে ধরে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করতে চেয়েছি।' 'আজ আমি বাধ্য হয়ে বলছি যে, অনেকেই আমাকে প্রশংসা করেছেন, কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যখন আমি কোনো মতামত দিয়েছি অথবা কোনো বিষয় তুলে ধরেছি, তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তা বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আমি আর বিস্তারিত কিছু বলব না,' তিনি যোগ করেন। এই অধ্যাপক বলেন, 'আজ বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি সভা ডেকেছিলেন। আমরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। এক পর্যায়ে আমি নামাজ পড়তে গিয়েছি, এসে দেখি ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ করেছি যে, অভিযোগগুলো এবং সমস্যাগুলোর দিকে নজর দিয়ে আপাতত গণনা স্থগিত রাখা হোক এবং একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ জাকসু নির্বাচনের দিকে এগোনো হোক। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি।
' তিনি আরও বলেন, 'আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি, মারাত্মক ত্রুটি দেখেছি, যা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমার মতামত গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। যখন দেখছি আমার মতামতের কোনো সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়ে গেছে, তখন আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি,' তিনি বলেন। অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, 'আমি চাপের মুখে পদত্যাগ করিনি, বরং আমাকে চাপ দেওয়া হয়েছে যেন আমি পদত্যাগ না করি। এমনকি বিভিন্নভাবে আমাকে রাজি করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি কখনো কাউকে ভয় করিনি, এখনো করব না। আমার কাছে যা সঠিক মনে হয়েছে, আমি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি...আমি কোনো দায় নেব না।'।