Published : 10 Sep 2025, 08:06 AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কারচুপির মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রদল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের কাছে এই অভিযোগ জানায়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ করে রাকিবুল বলেন, 'এই নির্বাচন তো জামায়াত-শিবিরের নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এটা জামায়াতের নির্বাচন। কিন্তু প্রশাসন এতটাই নমনীয়, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা ঘৃণা জানাই, যেকোনো মুহূর্তে এখানে সংঘর্ষ হতে পারে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাই।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা সম্পূর্ণরূপে জামায়াত দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।' কেন এমন ধারণা হয়েছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, 'আমরা দেখেছি ডাকসুর নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন কারচুপি হয়েছে।
প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ফল পাইনি।' জানতে চাইলে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, বিকেল ৪টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রবেশপথে জনসমাগমের খবর পেয়েছি। তখন থেকেই আমরা পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।' নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, 'সারাদিন গণমাধ্যমের সদস্যরা ছিলেন। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এবং পরিস্থিতি দেখেছেন। কোথাও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন ভোট গণনার চিত্র বাইরে দেখানো হবে। সুতরাং, নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।' এদিকে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেছেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো যেন নির্বাচন কমিশন আমলে নেয়।
আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। পোলিং এজেন্টদের পরিবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মেয়েদের হলে যাদের এজেন্ট দেওয়া হয়েছিল, তাদের ছেলেদের হলে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের ছেলেদের হলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মেয়েদের হলে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সকালবেলায় সমাধান করবে বললেও করেনি। আমরা সকালে এসে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখি। আমাদের নিজেদের উপস্থিত হয়ে সমাধান করতে হয়েছে।' এ বিষয়ে উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘যাদের পোলিং এজেন্ট হিসেবে বাদ দেওয়া হয়েছে, তারা কী কারণে বাদ পড়েছেন, সেটি আমাদের অবশ্যই জানানো উচিত। কারণ, পোলিং এজেন্টরা ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকবেন। ওই সময় কোনো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠলে আমরা সেটি জানাবো।।