Published : 08 Sep 2025, 10:06 AM
এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি-র সহযোগী প্রতিষ্ঠান ওমেরা পেট্রোলিয়াম ২২১.৭ কোটি টাকায় প্রিমিয়ার এলপি গ্যাস লিমিটেড, যা টোটালগ্যাস বাংলাদেশ নামে পরিচিত, এর প্রায় সমস্ত শেয়ার কিনে নিয়েছে। তবে এই চুক্তি কার্যকর হতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন। এই অধিগ্রহণের ফলে ওমেরা এখন প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের ৯৯.৯৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ওমেরা পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিম চৌধুরী এবং প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর মোরশেদ সিদ্দিকী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এসময় ওমেরার পরিচালক আজম জে চৌধুরী ও টোটালএনার্জিস-এর মার্কেটিং অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট থিবো লেসোয়ারসহ উভয় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই অধিগ্রহণের ফলে ওমেরার এলপিজি ব্যবসা আরও শক্তিশালী হবে।
এর মাধ্যমে তারা প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসের বিদ্যমান অবকাঠামো এবং এর ১৬ লক্ষ সিলিন্ডার ব্যবহারের সুযোগ পাবে। কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগের ফলে তাদের আয়ের উৎস বৈচিত্র্যপূর্ণ হবে এবং মুনাফা বাড়বে। বর্তমানে ওমেরার বাজার হিস্যা ২২ শতাংশ, আর টোটালগ্যাসের প্রায় ৫ শতাংশ। কয়েক মাস ধরে জটিল আলোচনার পর এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। প্রিমিয়ার এলপি গ্যাসে ১১ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকা স্থানীয় শেয়ারহোল্ডারদের আপত্তির কারণে আলোচনার গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে, ফ্রান্সভিত্তিক কোম্পানি টোটালগ্যাস কয়েক বছর ধরে বার্ষিক ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা লোকসান দিয়ে আসায় বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চেয়েছিল।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই একীভূতকরণের ফলে বাংলাদেশের এলপিজি ব্যবসায় ওমেরার বাজার অংশীদারিত্ব প্রায় ২৭ শতাংশে পৌঁছাবে, যা এই খাতে তাদের শীর্ষস্থানকে আরও সুসংহত করবে। উল্লেখ্য, এই খাতটি বর্তমানে ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। টোটালগ্যাস ২০০২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের শীর্ষ তিন এলপিজি আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তবে, পরবর্তীতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর এই বাজারে প্রচুর বিনিয়োগ করার ফলে টোটালগ্যাস তাদের কাছে বাজার হারাতে থাকে।।